




চাকরি ও জনসেবা
তিনি ১৯৯১ সালের দশম বিসিএস (স্বাস্থ্য ক্যাডার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে ১১ই ডিসেম্বর ১৯৯১ হতে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে বদলি হয়ে সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন এবং ১লা জানুয়ারি ১৯৯৬ সালে সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি গ্রহণ করেন।
চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন, যার মধ্যে রয়েছে সালেহা খাতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৯৯৩), জিরাবো দেওয়ান ইদ্রিস কলেজ (১৯৯৬), দেওয়ান ইদ্রিস ল কলেজ (২০০৩), এবং নিশ্চিন্তপুর দেওয়ান ইদ্রিস উচ্চ বিদ্যালয় (২০০৬), জিরাবো জয়গুননেছা জামিয়াতুল উলুম মাদ্রাসা (১৯৮৭)।
রাজনৈতিক জীবন
দেওয়ান মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ১৯৯০ সালে রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৯৩ সালে তিনি সাভার উপজেলার ইয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হন। ১৯৯৬ সালের সপ্তম এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে তৎকালীন ঢাকা-১২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এই বিজয় ছিল তাঁর জনপ্রিয়তা এবং জনগণের আস্থার এক সুস্পষ্ট প্রতিফলন। একাধারে দুবার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে, লায়ন দেওয়ান মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন তাঁর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন ও জনকল্যাণে অসামান্য এবং সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখেন। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি জাতীয় নীতি নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং দেশের আইন প্রণয়ন ও জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। সংসদীয় আলোচনা ও বিতর্কে তাঁর বলিষ্ঠ উপস্থিতি এবং যুক্তিনির্ভর বক্তব্য তাঁর রাজনৈতিক প্রভাবকে আরও সুদৃঢ় করে তোলে, যা তাঁকে জাতীয় পর্যায়ে একজন সম্মানীত আইনপ্রণেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে।
দলীয় কাঠামোর মধ্যেও তাঁর নেতৃত্ব ছিল অত্যন্ত সুপ্রতিষ্ঠিত এবং প্রভাবশালী। তিনি ২৯ আগস্ট ২০১৬সাল থেকে ১৫ নভেম্বর ২০২২ সাল পর্যন্ত ঢাকা জেলা বিএনপির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত ইউনিটের সভাপতির পদে অত্যন্ত সফলতার সাথে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি দলীয় কার্যক্রমকে সুসংগঠিত করতে, স্থানীয় পর্যায়ে দলের ভিত্তি মজবুত করতে এবং তৃণমূল পর্যায়ে দলের প্রভাব বৃদ্ধিতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন। এ ছাড়াও রাজনীতির কারণে তাঁকে তিন বার জেলবাস ও করতে হয়েছে ( ০৩ জুন, ২০১২ - ২১ জুন, ২০১২ ) , (০৩ ফেব্রুয়ারী,২০১৩ - ২২ মে, ২০১৩) এবং (২৫ অক্টোবর, ২০১৫ - ১৮ ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৬)।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।





